দীপাবলিতে কালী সেজে ধর্মতলায় ধরনা টেট উত্তীর্ণদের

 

আলোর উৎসবে মাতোয়ারা গোটা রাজ্য। টেট উত্তীর্ণদের জীবনে আধার কাটবে কবে? ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে ধরনা চলছে এখনও। কালী সেজে এবার ধরনায় সামিল হলেন আন্দোলনকারীরা। দেবীর কাছে আর্জি জানালেন, ‘আমাদের প্রতি যে মানবরূপী দানবগুলি অত্যাচার করছে, তাঁদের নিধন করতে আর একবার ধরনীর বুকে এস’! চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে দেখা করলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।

 

ইডি-র হেফাজতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি কিংপিন মানিকই! তিনি যখন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন, তখন  ৫৮ হাজার পদে বেআইনি নিয়োগ হয়েছে! শুধু তাই নয়, ধৃতের বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিও পাওয়া গিয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, ওই চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে, ৪৪ জনের কাছ  থেকে চাকরির জন্য ৭ লক্ষ টাকা করে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসেছেন টেট উত্তীর্ণরা। যাঁরা ধরনা দিচ্ছেন, তাঁরা সকলেই ২০১৪ সালের টেট পাস করেছেন। আজ, সোমবার এই ধরনা ৬৮ দিনে পড়ল। কালীপুজোতেও ছেদ পড়েনি আন্দোলনে। এদিন কালী সেজে অভিনব কায়দায় নিয়োগের দাবি জানালেন তাঁরা।  এর আগে, কোজাগরি লক্ষ্মীর পুজোর দিন লক্ষ্মী সেজে ধরনায় দিয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীদের। সেদিন ধর্মতলায় তাঁদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন নাট্যব্যক্তিত্ব কৌশিক সেন, এদিন আন্দোলস্থলে দেখা গেল সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। স্রেফ টেট উত্তীর্ণরাই নন, আপার প্রাইমারির আন্দোলনকারীদের সঙ্গেও কথা বললেন তিনি।

এদিকে অনলাইনে টেট নিয়োগে আবেদন প্রক্রিয়া চালু হয়েছে। ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন চাকরিপ্রার্থীরা। দুর্গাপুজোর চতুর্থীর দিন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। শূন্যপদের সংখ্যা এগারো হাজারেরও কিছু বেশি। এরপরই সল্টলেক করুণাময়ীতে পর্ষদের অফিসের সামনে অনশন শুরু করেন ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণরা। দাবি, ইন্টারভিউ ছাড়া চাকরি দিতে হবে। শেষপর্যন্ত মধ্য়রাতে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেয় পুলিস।

 

Source link

Leave a Comment