পুজোর আগে উপহার, সুন্দরবনের প্রত্যন্ত প্রাথমিক স্কুলে চালু ডিজিটাল ক্লাসরুম

 

দীর্ঘদিন ধরেই বাসন্তী ব্লকের শেষ প্রান্ত চুনাখালি গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার এই স্কুলটি বাঁধা ছকের বাইরে হাঁটা শিখেছে। কখনো মিডডে মিলে শিশুদের ঘি ভাতের ব্যবস্থা করে তাদের পুষ্টির বিষয়ে নজর দিয়েছে তো কখনো এই প্রত্যন্ত আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার স্কুল পড়ুয়াদের স্কুলেই জন্মদিন পালন করেছে। সর্বোপরি প্রাথমিক স্কুল হলেও তার চারপাশ বা পরিকাঠামো শহর কলকাতার যে কোনও নাম করা বেসরকারি প্রাথমিক স্কুলকে টক্কর দিতে পারবে।

সেই চুনাখালি হাটখোলা অবৈতনিক প্রাথমিক স্কুলে চালু হল ডিজিটাল ক্লাসরুম ও কম্পিউটার শিক্ষা কেন্দ্র। পুজোর আগে এ যেন হাতে চাঁদ পাওয়ার মতো উপহার পেলেন এই সকল দুঃস্থ, অসহার পড়ুয়ারা। উপস্থিত ছিলেন দক্ষিন ২৪ পরগনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি অজিত নায়েক, তথ্যপ্রযুক্তিবিদ ও সাহিত্যিক শুভেন্দ্রু রায়চৌধুরী, কলকাতা আইএমআইয়ের অধ্যাপক টিনু জৈন, সমাজসেবী তথা কলকাতা পু্লিশের পদস্থ আধিকারিক বাপ্পাদিত্য নস্কর, বাসন্তীর দুই অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক মৌমিতা মণ্ডল ও সন্দীপ চক্রবর্তী।

এই স্কুলের গ্রাম শিক্ষা কমিটির উদ্যোগ ও স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রী বর্তমানে প্রতিষ্ঠিত তাঁদের সহযোগিতাতেই এই ডিজিটাল ক্লাসরুমের উদ্বোধন করা সম্ভব হয়েছে বলে জানান স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিমাই মালি। এছাড়াও কলকাতার একটি বেসরকারি সংস্থা এই প্রকল্প চালাতে তিনটি কম্পিউটার স্কুলকে সাহায্য করেছেন। তাঁর কথায় সুন্দরবনের এই প্রত্যন্ত এলাকার ছেলে মেয়েরা সেভাবে আধুনিক শিক্ষার সুযোগ পায় না।

 

বর্তমানে যেভাবে পড়াশুনার ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা বাড়ছে, সেখানে এই ধরনের আধুনিক শিক্ষায় পারদর্শী না হলে এরা লড়াইয়ে টিকে থাকতে পারবে না। তাই এই প্রত্যন্ত আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় অধুনিক শিক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।প্রাথমিক ভাবে স্কুলের ১ম থেকে ৫ম শ্রেণীর পড়ুয়ারা সপ্তাহে একদিন করে এই ডিজিটাল ক্লাসের সুযোগ পাবে। এছাড়া এলাকার ছোট ছোট পড়ুয়া যাদের কম্পিউটার শিক্ষার সুযোগ নেই তাঁদেরকেও শনি ও রবিবার এখানে কম্পিউটার শিক্ষার ব্যবস্থা করা হবে বলে স্কুলের তরফে জানানো হয়েছে।

Source link

Leave a Comment