গত কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী জানান, কর্মসংস্থানই লক্ষ্য। শিল্প এবং কর্মস্থানে বাংলাকে দেশের মধ্যে প্রথম হিসাবে তুলে ধরতেই কাজ করছেন বলেও জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তা বলতে গিয়েই তাজপুরে বন্দর তৈরির কথা উল্লেখ করেন তিনি। আর এরপরেই তাজপুর বন্দর তৈরির ছাড়পত্র দিল রাজ্য মন্ত্রিসভা।
আজ সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক ছিল। সেখানেই এই সিদ্ধান্তে শিলমোহর দেওয়া হয়। আর সেই মতো নতুন সমুদ্র বন্দর গড়ার দায়িত্ব গেল মোদী ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী আদানি গোষ্ঠীর হাতে। গত কয়েকমাস আগেই কয়েক দফায় মুখ্যমন্ত্রী মমতার সঙ্গে বৈঠক করেন গৌতম আদানি। এমম্নকি আদানির গোষ্ঠীর বেশ কয়েকজন আধিকারিকের সঙ্গে প্রশাসনিক তরফে বৈঠক হয়।
আর এরপরেই আজ মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে হওয়া বৈঠকে তাজপুরে আদানিকে বন্দর তৈরিতে ছাড়পত্র দেওয়া হল। আর এই সিদ্ধান্ত রাজ্যের শিল্প ভাবনাকে একধাপ বাড়িয়ে দিল বলেই মনে করা হচ্ছে। আর এরপরেই বিধানসভায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ফিরহাদ হাকিম। সেখানে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানান তিনি।
ফিরহাদ বলেন, ‘লেটার অফ ইনটেন্ড’ হাতে দিয়ে আদানিকে আহ্বান জানাবেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, তাজপুরে বন্দর গড়তে সবথেকে বেশি দরপত্র আদানি গোষ্ঠী দিয়েছিল বলেও এদিন জানিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, মোট ২৫ হাজার কোটি টাকা এই বন্দর তৈরিতে বিনিয়োগ হবে। প্রাথমিক ভাবে ১৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে আদানি।
তবে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ করবে রাজ্য সরকার। যদিও এই কাজ করতে ১০ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ। আর এটি তৈরি হয়ে গেলে শিল্প ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটবে বলেই মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে ডানকুনি সহ বিভিন্ন শিল্পতালুক থেকে ব্যবসা করা সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে এই বন্দর তৈরি হলে।
এমনকি উত্তরবঙ্গের সঙ্গে জলপথে বাণিজ্য করার ক্ষেত্রেও এই বন্দর কাজে লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে কর্মসংস্থানে বিপ্লব ঘটবে বলেও মত পর্যবেক্ষকদের। ফিরহাদ জানিয়েছেন, প্রত্যক্ষ ভাবে ২৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে এই বন্দর তৈরি হলে। শুধু তাই নয়, পরোক্ষ ভাবেও লক্ষ মানুষের কাছে নয়া রাস্তা খুলে যাবে বলেও মনে করছে নবান্ন। আর তাই এই বন্দর তৈরি এখন প্রধান লক্ষ্য বলে মনে করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্যের শিল্পমহল।