জঙ্গলে খাবারের আকাল! দক্ষিণবঙ্গের জঙ্গলমহলই হোক কিংবা উত্তরবঙ্গ, হাতির দল লোকালয়ে ঢুকে পড়ে যখন-তখন। কেউ যদি সামনে পড়ে যায়, তাহলে রক্ষা নেই। হাতির হামলায় আহত, এমনকী মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে রাজ্যে। হাতির তাণ্ডবে ক্ষতির মুখে পড়েন সাধারণ মানুষ। আবার আচমকা রেললাইনে চলে এলে, ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয় হাতিরও।
হাতির গতিবিধি সম্পর্কে জানতে এবার নতুন পদ তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিল বনদফতর। পোশাকি নাম, গজমিত্র। এই পদে ধাপে ধাপে নিয়োগ করা হবে ৬০০ জনকে। যাঁরা চাকরি পাবেন, তাঁদের কাজ হবে হাতির গতিবিধি খবর দেওয়া। কীভাবে? নিজের এলাকায় বা গ্রামের আশেপাশে হাতি দেখতে পেলেই বন দফতরের অ্যাপে তথ্য পাঠিয়ে দেবে গজমিত্ররা। এই অ্যাপ ব্যবহার করবেন স্টেশন মাস্টাররা। হাতির গতিবিধি সম্পর্কে জানতে পারলে, রেল চালকদের সতর্ক করে দেবেন তাঁরা। চালকরা ধীরগতিতে ট্রেন চালাবেন অথবা হাতির সরে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন।
এর আগে, ২০২০ সালের অক্টোবরে পশ্চিম মেদিনীপুরে সফরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলার প্রশাসনিক বৈঠক ঘোষণা করেন, ‘হাতির আক্রমণে ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও উত্তরবঙ্গে লোকজন মারা যান। আমরা তাঁদের পরিবারকে আড়াই লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিই। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, হাতির আক্রমণে কেউ মারা গেলে তাঁদের পরিবারের এক জনকে এ বার স্পেশাল হোমগার্ডের পদে চাকরিও দেওয়া হবে’। এর কয়েক দিন পরেই বাঁকুড়া জেলা পুলিসে হোমগার্ড পদে চাকরিও পান ৫৮ জন।
এদিকে পুজো মিটলেই রাজ্যে ফের প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ শুরু হবে। শূন্য়পদের সংখ্যা কয়েক হাজার। কারা আবেদন করতে পারবেন? এখনও পর্যন্ত যারা টেট পাস করেছেন এবং যাঁদের বয়স চল্লিশের নিচে। বস্তুত, হাইকোর্টের নির্দেশে ইতিমধ্যেই প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরি পেয়ে গিয়েছে ১৮৭ জন। এমনকী , নিয়ো হবে দশম নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক পদেও। শূন্যপদ? ১৯ হাজার। বিদ্যালয় পিছু কোন ক্যাটেগরিতে শূন্যপদ কত? পুজোর আগে তালিকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যে অনগ্রসর শ্রেণি উন্নয়ন দফতরকে।