বোলপুরকাণ্ডের আঁচ বিধানসভায়; শিশু খুনে সিবিআই তদন্তের দাবি বিরোধী দলনেতার

 

বোলপুরকাণ্ডের আঁচ বিধানসভায়। শিশু খুনেও এবার সিবিআই তদন্তের দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পুলিসমন্ত্রী কেন বিবৃতি দিচ্ছেন না? অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপি বিধায়করা।

 

ঘটনাটি ঠিক কী? শান্তিনিকেতনের মোলডাঙা গ্রামের বাসিন্দা ছিল বছর চারেকের শিবম ঠাকুর। ররিবার সকালে বাড়ি থেকে কাছেই মুদির দোকানে বিস্কুট কিনতে গিয়েছিল সে, কিন্তু আর বাড়ি ফেরেনি! কেন? আশেপাশ খোঁজাখুঁজি করেও ছেলের সন্ধান পাননি পরিবারের লোকেরা। খবর দেওয়া হয় থানায়। অবশেষে গতকাল, মঙ্গলবার এক প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে ছাদ থেকে শিবমের নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিস। এরপরই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে।

পরিবারের লোকেদের দাবি, ওই শিশুকে অপহরণ করে খুন করেছে প্রতিবেশী রুবি খাতুনই! শুধু তাই নয়, তাঁর বাড়িতে আগুনও ধরিয়ে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রুবিকে গ্রেফতার  করেছে পুলিস। কেন একাজ করল সে? পুলিস সূত্রে খবর, মোলডাঙা গ্রামেই একটি সেলুন চালান নিহত শিশুর বাবা শম্ভু ঠাকুর। তাঁর সেলুন কাজ করেন হাবল বাউড়ি। তাঁর সঙ্গে বিবাহ-বর্হিভূক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন রুবি। এমনকী, দু’জনে নাকি গ্রামে ধরাও পড়ছিলেন!এরপর রুবি চাইলেও, শম্ভুর পরামর্শেই বিয়েতে রাজি হননি হাবুল। সেকারণেই শম্ভুর ছেলে শিবমকে অপহরণ করে খুন।

এদিন বিধানসভায় বোলপুরকাণ্ডের প্রসঙ্গ তোলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বলেন, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় শিশুদের উপর অত্যাচার চলছে। পুলিসি ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। কেন এমন পরিস্থিতি? বিধানসভায় যখন পুলিসমন্ত্রীর বিবৃতি দেওয়ার দাবি তোলেন তিনি, তখন তীব্র প্রতিবাদ জানান শাসকদলের বিধায়করা। এরপর দু’পক্ষের স্লোগান, পাল্টা স্লোগানে তুমুল হই-হট্টগোল শুরু হয়। শেষপর্যন্ত অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা।

বিধানসভা বাইরে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘পুলিস চোরেদের বাঁচানোর জন্য বিধানসভায় এসে মিথ্যা কথা বলতে পারেন। আমরা বলেছিলাম, হাউস চলাকালীন পুলিসমন্ত্রীকে বলুন এসে বলতে। অধ্যক্ষ একপেশে আচরণ করেন। স্বাভাবিকভাবেই কর্ণপাত করেননি’। তাঁর আরও বক্তব্য, ‘শান্তিনিকেতন থানার ওসিকে গ্রেফতার, এসপিকে ক্লোজ করার দাবি করছি এবং সিবিআই তদন্তের দাবি করছি’। এর আগে, বাগুইআটি জোড়া খুনকাণ্ডেও সিবিআই তদন্তের দাবি করেছিলেন শুভেন্দু।

এদিন শান্তিনিকেতনের মোলডাঙা গ্রামে নিহত শিশুর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্য়ায়। গ্রামবাসীদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। ওঠে গো-ব্য়াক স্লোগানও। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, ‘পুলিস যা করার, করছে। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা রাজনীতি চাই না’। নিহতদের পরিবার সঙ্গে দেখা করতে না পেরে শেষপর্যন্ত থানার সামনে ধরনায় বসেন লকেট।

 

Source link

Leave a Comment