ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পাপুয়া নিউগিনি। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৭.৬। মুহূর্তে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে দ্বীপ রাষ্ট্র। ইতিমধ্যেই জারি করা হয়েছে সুনামি সতর্কতা। সমুদ্রে ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে দ্বীপ রাষ্ট্রে তাই আগে থেকেই বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে।
এমনিতেই ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা পাপুয়া নিউগিনি। মাঝে মধ্যেই এখানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। কিন্তু রবিবার সকালে যে ভূমিকম্পটি হয়েছ সেটা ভয়াবহ। চারিদিক কাঁপতে শুরু করেছিল। বাড়ির যেন দুলছে। রাস্তায় ছুটে বেরিয়ে আসেন বাসিন্দারা। একাধিক জায়গায় বাড়ি ভাঙার খবর পাওয়া গিয়েছে। রাস্তাতেও ফাটল ধরেছে একাধিক জায়গায়। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৭.৬।
প্রশান্ত মহাসাহরের দ্বীপ রাষ্ট্র পাপুয়া নিউগিনি। তীব্র ভূমিকম্পের পরেই তাই জারি করা হয়েছে সুনামি সতর্কতা। ভূমিকম্পর পর থেেকই পাপুয়া নিউগিনিতে আতঙ্ক রয়েছেন মানুষ। সমুদ্র উপকূল থেকে নিরাপদ দূরত্বে সরে যেতে বলা হয়েছে বাসিন্দাদের। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৎপর হয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। দুর্গতদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থান সরিয় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের পক্ষ থেকেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
পাপুয়া নিউগিনির কাইনানটু শহরে প্রায় ১০ হাজার লোক বাস করেন। ভয়াবহ এই ভূমিকম্পের জেরে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই শহরের একাধিক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর মিলেছে। উৎসস্থলের ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই ভূমিকম্পের প্রভাব ব্যপক পড়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কয়েকদিন আগেই তীব্র ভূমিকম্প দেখা গিয়েছিল আফগানিস্তানে। প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল একাধিক পাহাড়ি গ্রাম। হাজার জনের মৃত্যু হয়েছিল সেই ভূমিকম্পে। আহত হয়েছিলেন ১৫০০ জন। আফগানিস্তান, পাপুয়া িনউগিনি এই সব এলাকা ভূমিকম্প প্রবণ বলেই পরিচিত। কিন্তু ভূমিকম্পের তীব্রতা বেশি হতে শুরু করায় উদ্বেগ বেড়ছে ভূবিজ্ঞানীদের।