জনসাধারণের মতামত নিয়েই পরিবর্তন
এদিন বিদ্যুৎমন্ত্রী বলেন, আমরা জনসাধারণের কাছে মতামত নেওয়া শুরু করেছিলাম- তাঁরা কী চান, তিন মাস অন্তর বিদ্যুৎ বিল নাকি প্রতিমাসেই চান বিদ্যুৎ বিল। জনমত পাওয়া গিয়েছে। সেখানে সিংহভাগমানুষ যা চাইছেন সেটাই হবে। প্রতি মাসে বিল দেওয়ার পক্ষেই মত অধি্কাংশের। এখন আমরা গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি, তারপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রতি মাস বিলের প্রস্তাব, বিবেচনায় মন্ত্রী
পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ পর্ষদ প্রতি তিন মাস অন্তর বিদ্যুতের বিল দেয়। এই তিন মাস অন্তর বিলের পরিবর্তে মাসিক বিল তৈরির প্রস্তাব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জনসাধারণের মতামত নেওয়ার পর বিধায়কদের প্রস্তাবও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বহু বিধায়ক প্রতি মাস বিলের প্রস্তাব দিয়েছেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে তাৎপর্যপূর্ণ মত প্রকাশ করেছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
পরীক্ষামূলকভাবে কিছু এলাকায় মাসিক বিল
মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি নিয়ে বিদ্যু দফতরের প্রতিনিধি ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে দু-রকম মত পাওয়া গিয়েছে। এখন পরীক্ষামূলকভাবে কিছু এলাকায় মাসিক বিল চালু করা হচ্ছে। তাতে কী ফল দাঁড়ায় দেখেই পুরো রাজ্যব্যাপী তা চালু করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কলকাতা পুরসভার কিছু এলাকা রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের অধীন। ১১১, ১১২, ১১৩ ও ১১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ওইসব এলাকায় মাসিক বিল পাঠানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
বিধায়কদের কাছে সহযোগিতা দাবি চুরি আটকাতে
এদিনই শুধু বিদ্যুৎ বিল নিয়েই নয়, তিনি বিধায়কদের কাছে সহযোগিতা চান বিদ্যুৎ চুরি আটকানোর ব্যাপারে। তিনি মানুষকে সচেতন করতে বিধায়কদের বিশেষ ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানান। বেআইনিভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার ফলে তার ছিঁড়ে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটছে বলে জানান তিনি। তাই সতর্কতার আর্জি জানান বিদ্যুৎমন্ত্রী।
চুরি ধরার পরে ক্ষতিপূরণ বিল, পাল্টা হামলা
কিছুদিন আগে বিদ্যুৎ চুরির বিরুদ্ধে অভিনব ব্যবস্থা নেয় রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। তাঁরা বি্দ্যুৎ চুরি ধরার পরে ক্ষতিপূরণ বিল পাঠায়। কিন্তু তার বদলে বিদ্যুৎ দফতরে গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রে হানা দেয় দুষ্কৃতীরা। নিগ্রহ করা হয় দফতরে উপস্থিত সরকারি আধিকারিকদের। পরিষেবা কেন্দ্রে ভাঙচুর চালানো হয়। কর্মচারীদের মারধর পর্যন্ত করা হয়।