কেন্দ্রের টাকায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিস্ফোরক দাবি,

 

 
 

শুভেন্দু অধিকারী ফের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করে বসলেন। তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রক্ষায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চালু করেছেন। কিন্তু সেই টাকা দেওয়ার ক্ষমতা নেই রাজ্য সরকারের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকায়। শুভেন্দুর এই বিস্ফোরক দাবির পাল্টা দিয়েছেন তৃণমূলের কুণাল ঘোষ।

 

শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ৯ মাস ধরে চুরি করেছো। হিসেব দিতে না পারায় একশো দিনের টাকা বন্ধ করে রাখা হয়েছে। কেন্দ্রের জলপ্রকল্পেরও টাকাও পাচ্ছে না রাজ্য। সব জায়গায় গরমিল। পুরো রাজ্যটাই দুর্নীতিতে ডুবে আছে। কেন্দ্র এখন এদের টাকা খাওয়ার সমস্ত রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে।

তিনি শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়, নাম না করে নিশানা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। আক্রমণ শানিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, জাতীয় শিক্ষা মিশনের টাকা থেকে কাটমানি খেয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় আর ভাইপোরা।

শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এদের সরকার আর কিছুই দিতে পারবে না। সমস্ত পথ বন্ধ হয়ে আসছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দিচ্ছিল, তাও বন্ধ করে দিতে হবে। সব ধরা পড়ছে একে একে। একশো দিনের টাকা বন্ধ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা বন্ধ। জন জীবন মিশনের নাম পাল্টে দিয়ে জলস্বপ্ন প্রকল্প করেছে রাজ্য। নাম বদলাচ্ছে, ফলে জলের টাকাও পাবে না। আমরা আইসিডিএসের টাকাও বন্ধ করে দেব। স্কুলের পড়ুয়াদের পোশাক, জুতোর জন্য যে টাকা আসে, সেই টাকারও কাটমানি খায় তৃণমূল। এবার সব পথই বন্ধ হবে।

শুভেন্দুকে পাল্টা নিশানা করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, এই কথাটা কে বলছেন আগে দেখুন। তারপর বিশ্বাস করবেন। গলার শির ফুলিয়ে বলছেন শুভেন্দু অধিকারী। যিনি ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত তৃণমূল সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী ছিলেন। দলরে গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে ক্রমাগত চেঁচিয়ে তিনি বলতেন মোদী হটাও দেশ বাঁচাও। এখন তিনি বাংলার কুৎসা করে যাচ্ছে। কেউ কি ওর ওই কুৎসা বিশ্বাস করবে!

কুণাল ঘোষ বলেন, কেন্দ্রের টাকা মানেটা কী! কেন্দ্রের টাকা কি বিজেপি নেতাদের পৈতৃক সম্পত্তি? বাংলা-সহ বিভিন্ন রাজ্যের মাটি থেকে আয়কর-সহ যে টাকা আদা হচ্ছে, সেখান থেকেই তো কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে। সাংবিধানিক পরিকাঠামো অনুযায়ী বাংলাকে তাদের ভাগ দিচ্ছে কেন্দ্র। সেই ভাগের টাকাও দিতে দিচ্ছে না বিজেপি। বাংলায় ভোটে গোহারা হেরে অর্থনৈতিক অবরোধ তৈরি করছে বিজেপি। ভুলে যাবেন না বাংলার একশো দিনের কাজে এক নম্বের। কেন্দ্রের রিপোর্টেই বারেবারে এক নম্বর জায়গা দখল করে নিয়েছে বাংলা। বহু ডাবল ইঞ্জিন সরকারকে টপকে শীর্ষে অবস্থান করছে বাংলা।

Source link

Leave a Comment