কেউ দোষী হলে কঠোরতম শাস্তি, যড়যন্ত্রের শিকার হলে প্রতিবাদ করবে তৃণমূল: ফিরহাদ

বিচার ব্যবস্থার উপরে আস্থা রয়েছে। কেউ দোষী হলে শাস্তি দেব। পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর সংবাদমাধ্যমে এভাবেই প্রতিক্রিয়া জানালেন কুণাল ঘোষ। অন্যদিকে, ফিরহাদ হাকিম বলেন, বিজেপির ওয়াশিং মেশিনে ঢেকেননি বলেই পার্থকে গ্রেফতার করল ইডি।

কেউ দোষী হলে কঠোরতম শাস্তি, যড়যন্ত্রের শিকার হলে প্রতিবাদ করবে তৃণমূল

শনিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতারের পর ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে এক জরুরি বৈঠকে বসেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা। তারপরেই এক সাংবাদিক সম্মেলনে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখী হন কুণাল ঘোষ, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ফিরহাদ হাকিম ও অরূপ বিশ্বাসরা। তারপরেই এক সাংবাদিক সম্মেলনে ফিরহাদ হাকিম বলেন, দু’মাস আগে আদালত তদন্তভার সিবিআইকে দিয়েছে। ওই দুমাসের মধ্য়ে পার্থদা যদি ওই ওয়শিং মেসিনে ঢুকে যেত তাহলে ইডির তদন্ত হতো না। ওরা কিছু খুঁজেও পেত না। তৃণমূল কংগ্রেসে ছিল তাই তার বিরুদ্ধে কুত্সা, ষড়যন্ত্র হচ্ছে।

এখানেই থেমে থাকেননি ফিরহাদ। কলকাতার মেয়র বলেন, ঠিক একই কায়দায় যেহেতু আমি তৃণমূল কংগ্রেসে আছি তাই আমাকেও জেলে যেতে হয়েছিল। কিন্তু একই কেসে যে বিজেপির ওয়াশিং মেশিনে ঢুকে গেল তাকে কিন্তু আজও তদন্তের মুখোমুখী হতে হয়নি। তাই আপনারা বুঝতেই পারছেন বিজেপিতে গেলে সাধু, তৃণমূলে থাকলে চোর। এই দ্বিচারিতা চলছে। এবং এখনও বলছি দেশের এজেন্সিগুলিকে রাজনৈতিক কারণে কাজে লাগাচ্ছে বিজেপি। আমরা একমত, তৃণমূল কংগ্রেস অন্যায় করে না। অন্যায় সহ্য করে না। বিচারব্যবস্থার উপরে আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। যদি দেখা যায় কেউ দোষী তাকে কঠোরতম শাস্তি তৃণমূল দেবে। কিন্তু কোনও ষড়যন্ত্রের কেউ শিকার হলে তার প্রতিবাদ বা প্রতিরোধ করব।

এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে কুণাল ঘোষ বলেন, এক ভদ্র মহিলার বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছে। ইডির ট্যুইট থেকে তা জানতে পেরেছি। এনিয়ে তৃণমূলের বক্তব্য স্পষ্ট, ওই টাকার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও সম্পর্ক নেই। যার বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছে তার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি তৃণমূলের কেউ নন। যার বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছে তিনি বা তাঁর আইনজীবী এর উত্তর দিতে পারবেন।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, দেখতে পাচ্ছি টাকা উদ্ধারের সঙ্গে কোনওভাবে একটা সম্পর্কের কথা বলে গ্রেফতার করা হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। আমরা সাফ জানাচ্ছি, সর্ব ভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস আইন ও আদালতের উপরে পূর্ণ আস্থা রাখে। বিষয়টি এখন আদালতে গিয়েছে। এর আগে আমরা দেখেছি কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্ত খুব দীর্ঘ মেয়াদী হয়। ওই টাকার উত্স কী? যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওই তদন্ত শেষ করা হোক। যেখানে নোটবন্দি চলছিল সেখানে ওই বিপুল নগদ টাকা, কালো টাকা এল কী করে? সেটাও তদন্ত করে দেখা দরকার। বিচারে যদি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হয় তাহলে তৃণমূল কংগ্রেস দলগতভাবে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। 

Source link

Leave a Comment