নিজস্ব প্রতিবেদন: একজনের ঝুলিতে ছয়টা মহিলা বিশ্বকাপ (ICC Women’s World Cup)। আর একজন পাঁচটা বিশ্বকাপ খেলে ফেললেন। প্রথমজন মিতালি রাজ (Mithali Raj)। দ্বিতীয়জন এক ও অদ্বিতীয় ঝুলন গোস্বামী (Jhulan Goswami)। তবে সাইড স্ট্রেনের চোটের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার (INDWvsRSAW) বিরুদ্ধে ডু অর ডাই ম্যাচে খেলত পারলেন না ‘চাকদহ এক্সপ্রেস’। অনেক যুদ্ধের সৈনিক ঝুলনের না থাকা টিম ইন্ডিয়ার (Team India) ম্যাচ হারের বড় কারণ বলে মনে করেন অধিনায়ক মিতালি রাজ। মহিলা বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে এমনটাই বললেন মিতালি।
ম্যাচের শেষে পুরনো সতীর্থ ঝুলনের না খেলার প্রসঙ্গে মিতালি বলেন, “ঝুলনের অনেক অভিজ্ঞতা। এমন কঠিন ম্যাচে ও মাঠে থাকলে সেটা খুবই কাজে লাগত। কিন্তু চোটের জন্য ওকে পেলাম না। ঝুলনকে মিস করেছি খুব। তবে ওর অনুপস্থিতি বাকিদের কাছে একটা সুযোগ এনে দিয়েছিল। কিন্তু সেটা কাজে লাগল না।”
ঝুলন মিস করার কথা বললেও, প্রোটিয়াসদের বিরুদ্ধে শেষ মুহূর্তে হারের জন্য মিতালির খারাপ অধিনায়কত্বও অনেকটাই দায়ী। ব্যাট হাতে ৪৮ রান করার পরে মোক্ষম সময় হরমনপ্রীত নিলেন দু’টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা ব্যাটার লরা উলভার্টকে আউট করে দলকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন তিনিই। সেই সঙ্গে দু’টি রান আউট করেন। একটি ভাল ক্যাচ ধরেন। কিন্তু এত লড়াইয়ের পরেও হারল দল। হরমনপ্রীত ৮ ওভারে ৪২ রান দিয়ে ২ উইকেট নেওয়ার পরেও, শেষ দিকে তাঁর হাতে বল তুলে দেননি মিতালি। রাজেশ্বরী গায়গোয়াড়ের ভরসা দেখালেন। কিন্তু রাজেশ্বরী চাপের মুখে সামলাতে পারলেন না। এক ওভারে তিনটি চার দেন রাজেশ্বরী। সেখানেই খেলা দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে ঝুঁকে যায়।সঙ্গে যোগ হল শেষ ওভারে দীপ্তি শর্মার একটা নো বল। এই নো বলের জন্য খেলা ঘুরে যায়।
যদিও সতীর্থদের দোষ দিতে নারাজ মিতালি। তিনি যোগ করেন, “ব্যক্তিগত ভাবে আমার মতে, মেয়েরা নিজেদের সেরাটাই দিয়েছে। খুব গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ছিল। অনেক চাপ সামলাতে হয়েছে। আমাদের দৌড় শেষ। কিন্তু যে ভাবে গোটা প্রতিযোগিতাতে আমরা খেলেছি তাতে খুশি।”
এ দিকে মিতালি এবং ঝুলন দু’জনেই সম্ভবত শেষ বিশ্বকাপ খেলে ফেললেন। ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে এই দুই লেজেন্ডের খেলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। ম্যাচের পর চিরবিদায়ের কথা স্বীকারও করে নিলেন মিতালি। বলেছেন, “সব ভাল জিনিসই এক দিন শেষ হয়। আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়তো একটু সময় লাগবে। কিন্তু এটাই খেলাটার মাহাত্ম্য। যারা প্রত্যেক ম্যাচে আমাদের সমর্থন জানাতে মাঠে এসেছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ। আপনাদের চিৎকার শুনে উদ্বুদ্ধ হয়েছি। ভবিষ্যতে মেয়েদের ক্রিকেটকে এ ভাবেই সমর্থন করে যাবেন।”