Primary TET: টেট পাস মানেই চাকরি নয়, প্রাইমারিতে নিয়োগ নিয়ে বড় ঘোষণা পর্ষদ সভাপতির

 

টেট পাস করা মানেই চাকরি নয়। স্পষ্ট করে দিলেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। তিনি পরিষ্কার জানালেন, টেট একটি যোগ্যতামান নির্ণায়ক পরীক্ষা মাত্র। বোর্ড বিধি মেনে নিয়োগ করবে। আগামী ২ বছরের মধ্যে যোগ্য দাবিদার সমস্ত টেট উত্তীর্ণকে চাকরি দেওয়া হবে। এই বছর ইন্টারভিউয়ের ৩ মাসের মধ্যে নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষ করা হবে। প্রতি বছর দুবার করে নিয়োগ করা হবে প্রাথমিকে। সাংবাদিক বৈঠকে এমনই আশ্বাস দিলেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। একইসঙ্গে তিনি জানালেন, ‘মেধাতালিকা স্পষ্ট করে প্রকাশ করা হবে।’

টেট পাস মানেই চাকরি নয়, প্রাইমারিতে নিয়োগ নিয়ে বড় ঘোষণা পর্ষদ সভাপতির

পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেন, ‘আইন মেনে পর্ষদ কাজ করবে। প্রতিবছর অন্তত দুবার টেট হবে। বোর্ড বিধি মেনে নিয়োগ করবে। অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে পর্ষদ। কোনও অস্বচ্ছতার সেখানে স্থান নেই। টেট পাস করা মানেই চাকরির অধিকার অর্জন করা নয়। টেট একটি যোগ্যতামান নির্ণায়ক পরীক্ষা। অতএব টেট ২০১২, ২০১৪ কি ২০১৭ সালে পাস করেছি মানেই আমায় চাকরি দিতে হবে, এমনটা নয়।’ প্রসঙ্গত, প্রাইমারি টেট দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার সকালেই অপসারিত পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করে ইডি। 

ইডির নজরে মানিক ভট্টাচার্যের বাজেয়াপ্ত মোবাইলের হোয়াটসঅ্যাপ। অভিযোগ, মানিক ভট্টাচার্যের হোয়াটসঅ্যাপে আসে বিতর্কিত সেই চূড়ান্ত প্রার্থীতালিকা । ‘RK’ নামে সেভ থাকা একটি নম্বর থেকে সেই মেসেজ আসে। যাতে লেখা ছিল, চূড়ান্ত লিস্টে অনুমোদন দিয়েছেন ‘DD’। এখন প্রশ্ন উঠছে, কে এই ‘RK’? কে এই ‘DD’? যার উত্তর জানতে মরিয়া ইডি। সব প্রশ্নের সঠিক উত্তরের খোঁজ পেতে মানিক ভট্টাচার্যকে আরও জেরা করতে চায় ইডি। প্রসঙ্গত, তদন্তে সহযোগিতা করছেন মানিক ভট্টাচার্য, এই মর্মেই তাঁকে গ্রেফতার করেছে ইডি।

অন্যদিকে, আদালতে ইডি আরও জানিয়েছে যে, মানিক ভট্টাচার্যের ছেলের নামে একটি কোম্পানির হদিশ মিলেছে। সেই কোম্পানির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা পাওয়া গিয়েছে। বেঙ্গল টিচার্চ ট্রেইনিং ইন্সটিটিউশন নামে একটি সংস্থা সেই টাকা পাঠিয়েছিল। একইসঙ্গে উদ্ধার হয়েছে দুটি ফোল্ডার। যারমধ্যে ৬১ জন প্রার্থীর নাম পাওয়া গিয়েছে। যারমধ্যে ৫৫ জনের কাছ থেকেই টাকা নেওয়া হয়েছে ও তাঁরা চাকরি পেয়েছেন বলে দেখা যাচ্ছে।

Source link

Leave a Comment