বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল পাঁশকুড়া – কয়েক কিলোমিটার দূর থেকে সেই শব্দ শোনা যায়

 

নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই চলছি বাজি তৈরির কাজ

নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই চলছি বাজি তৈরির কাজ

ঘটনার পর থেকে পুরো গ্রাম ফাঁকা হয়ে গিয়েছে। কেউ এলাকাতে নেই বলেও খবর। অন্যদিকে ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের এবং পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা জানার চেষ্টা চলছে। তবে স্থানীয় ভাবে জানা যাচ্ছে, ফাঁকা জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে বাজি তৈরির কাজ চলছিল। আইন এবং প্রশাসনের সমস্ত নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই এই বাজি তৈরির কাজ চলছিল বলেও জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। যদিও স্থানীয় মানুষজনের দাবি, ওই বাড়ির মালিক নাকি এলাকায় জানিয়েছিল তাঁর বাজি তৈরির অনুমতি রয়েছে। আর সেই মতো বাজি তৈরি হত বলে দাবি। এমনকি কালীপুজোর আগে ব্যাপক বাজি মোতায়েন করা ছিল বলেও জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। আর মজুত থাকা বাজি থেকেই ব্যাপক বিস্ফোরণ হয় বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বাজির তীব্রতা এতটাই ছিল যে বিস্ফোরণে উরে যায় বাড়ির একাংশ। এমনকি কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা।

ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকে মৃতদেহও

ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকে মৃতদেহও

শুধু তাই নয়, ঘটনার পর একেবারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকে মৃতদেহও। ঘটনায় এক নাবালকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। নিহতের নাম শম্ভু সামন্ত (১৭) বলে খবর। শম্ভু নবম শ্রেণির ছাত্র। এমনকি বেশ কয়েকজন মহিলাও ঘটনায় আহত বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পাঁশকুড়া থানার পুলিশ। তবে ঘটনার পর থেকেই শ্রীকান্ত ভোক্তা যিনি কিনা বাড়ির মালিক সে পলাতক বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা। এই মুহুরতে গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে স্থানীয় পুলিশ।

জোর রাজনৈতিক তরজা

জোর রাজনৈতিক তরজা

তবে ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির দাবি, রাঝ্যে বোমা শিল্প ছাড়া কিছু নেই। সেটাই আবার প্রমাণ হল। ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। যদিও বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করছে বলেও দাবি স্থানীয় তৃণমূলের। দোষী খুব শীঘ্রই ধরা পড়বে বলেও দাবি স্থানীয় এক নেতার।

Source link

Leave a Comment