পুজোর আগেই চাকরি! হাইকোর্টের নির্দেশে প্রাথমিকে নিয়োগপত্র পাচ্ছেন ১৮৫ জন

 হাইকোর্টের নির্দেশে কাটল জট। পুজোর আগেই প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ! নিয়োগপত্র পাচ্ছেন কতজন? আগামিকাল, শুক্রবার নিয়োগপত্র দেওয়া হবে ১৮৫ জন কর্মপ্রার্থীকে। পর্ষদ সূত্রে তেমনই খবর।

ঘটনার সূত্রপাত ২০১৪ সালে। সেবছর  প্রাথমিক টেটে ৬টি প্রশ্ন নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন ১৮৭ জন চাকরিপ্রার্থী। কেন? মামলাকারীদের দাবি ছিল, নিয়ম অনুযায়ী ভুল প্রশ্ন ‘অ্যাটেন্ড’ করলে বা উত্তর দিলেই নম্বর পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে যদি তেমনটা করা হত, তাহলে টেটে উত্তীর্ণ হতেন তাঁরা। কেন নিয়ম মানা হল না? হাইকোর্টে সশরীরের হাজিরা দিতে হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে। স্রেফ ক্ষতিপূরণ দেওয়া নয়, ১৮৭ জন চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগের নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। 

 আদালতের নির্দেশ মেনে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। ইন্টারভিউতে ডাক পান ১৮৭ জন চাকরিপ্রার্থী। পুজোর আগেই এবার নিয়োগপত্রও পাচ্ছেন ১৮৫ জন। পর্ষদ সূত্রে খবর, কলকাতায় সদর দফতর থেকে ইতিমধ্যেই নিয়োগপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামিকাল, শুক্রবার সেই নিয়োগপত্র পৌঁছে যাবে চাকরিপ্রার্থীদের কাছে। সমস্যার কারণে আপাতত ৩ জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া যাচ্ছে না। তবে খুব তাড়াতাড়ি চাকরি পাবেন তাঁরাও।

এদিকে মানিক ভট্টাচার্যের অপসারণের পর, পর্ষদ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছে গৌতম পাল। পর্ষদের কাজ পরিচালনার জন্য ১১ সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করেছে রাজ্য। পোশাকি নাম, অ্য়াডহক কমিটি। সপ্তাহ খানেক প্রথমবার বৈঠকে বসেন এই কমিটির সদস্যরা। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, পুজোর পর ফের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু হবে। শূন্য়পদের সঙ্গে কয়েক হাজার। কারা আবেদন করতে পারবেন?  এখনও পর্যন্ত যারা টেট পাস করেছেন এবং যাঁদের বয়স চল্লিশের নিচে। শুধু তাই নয়, , নতুন চাকরীপ্রার্থীদের জন্য যাতে এ বছরই টেট নেওয়া যায়, সে বিষয়ে উদ্যোগ নেবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদের সংসদের নয়া কমিটির প্রশংসা করেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। টেট মামলার শুনানিতে  তিনি বলেছেন,  ‘নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি, অভীক মজুমদারের মতো মানুষ আছেন। বর্তমান চেয়ারম্যানও ভালো মানুষ। আশা রাখছি, আস্তে আস্তে পরিবর্তন হবে’। বস্তুত, সম্মিলিত মেধাতালিকা প্রকাশ করা পর্ষদের মাস্টারস্ট্রোক ছিল বলেও মন্তব্য করেছেন  বিচারপতি।

Source link

Leave a Comment